সাজাপ্রাপ্ত ৫ জনের মধ্যে রয়েছে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। সেনাবাহিনীর পদ থেকে তাকে আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও রয়েছে জঙ্গিনেতা আক্রম হসেন ওরফে আবির, আব্দুল সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন এবং আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম। এদের মধ্যে সৈয়দ জিয়াউল হক ও আক্রমণ হোসেন এখনো পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে শফিউর রহমান ফারাবী কে।
মুক্তমনা ব্লগার হত্যার রায় ঘোষণা উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আদালত চত্বরে নিরাপত্তাব্যবস্থা আঁটোসাঁটো ছিল। কড়া নিরাপত্তার মধ্য সকাল ১০ নাগাদ অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। রায়ের পর পুলিশি বেড়াজালে দোষীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের TSC এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎ রায় কে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাশিদা আহমেদ ও গুরুতর আহত হন। তদন্তে নেমে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি 6 জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে।
জমা পড়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে মোট ১২ জন জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে শফিউর রহমান ফারাবী হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা জোগায়। অভিযুক্ত মুকুল রানা এনকাউন্টার এ মারা যায়। অন্যদিকে পুলিশ জেলায় খুনের ঘটনার স্বীকার করে নেয় জঙ্গি নেতা সোহেল। গোপন জবানবন্দিতে সে জানায়, আক্রম তাকে অভিজিতের ছবি দেখিয়েছিল। ২১এ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা অভিজিৎ রায়ের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে শুরু করে। ২৬এ ফেব্রুয়ারি ব্লগারের হত্যা করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন